নিরুক্ত সম্পর্কে আলোচনা করা হল ।
Table of Contents
নিরুক্ত কি
পদসমূহ যাতে নিঃশেষে উক্ত হয়েছে, তাই নিরুক্ত। যাস্ক বিরচিত নিরুক্ত সমগ্র পৃথিবীতে ভাষাতত্ত্বের গবেষনার প্রথম নিদর্শন বললে অত্যুক্তি হয় না।
নিরুক্ত বিভাগ
নিরুক্ত তিনটি কান্ডে বিভক্ত-
নৈঘণ্টূক বা নিঘণ্টূ নৈগম ও দৈবত।
- নিঘণ্টূকতে ৫ টি অধ্যায়,
- নৈগম কান্ডে ৬ টি অধ্যায়
- দৈবতকান্ডের ৬ টি অধ্যায়।
নিঘণ্টূ কান্ড
নিঘণ্টূকে শব্দার্থকান্ড বলা হয়। অনেকে মনে করেন আচার্য যাস্ক নিঘণ্টূর ব্যাখ্যাকার, গ্রন্থকার নন। অন্য কোন ঋষি নিঘণ্টূ রচনা করেছিলেন।
নৈগম কান্ড
‘নিগম’ শব্দের অর্থ হল বেদ। যাস্ক বেদ অর্থে নিগম শব্দের ব্যবহার করেছেন। বেদে প্রযুক্ত বেশিরভাগ শব্দের অর্থ নির্নয় করা হয়েছে নৈগম কান্ড। বিশেষত অনেকার্থবাচক এক শব্দের ব্যুৎপত্তি ও প্রয়োগ বিষয়ে বেদের মন্ত্র উদ্ধৃত করে মন্ত্রের সব শব্দের ব্যুৎপত্তি ও অর্থ নির্দেশ করেছেন যাস্কাচার্য।
দৈবতকান্ড
দৈবত কান্ডে যাস্ক বৈদিক দেবতাতত্ত্বের বিশ্লেষন করেছেন। বেদের দেবতারা যে এক একটি প্রাকৃতিক শক্তি তার ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই দৈবত কান্ডে। ইন্দ্রের বৃত্র নামক অসুরনিধনের কথা বলে তিনি বলেছেন – ‘তত্র কো বৃত্রঃ? মেঘ ইতি নৈরুক্তাঃ’। অর্থাৎ বৃত্র মেঘ ছাড়া আর কিন্তু নয়।